বর্তমানে এই শেষ যামানার সময়ে শয়তানের সিলেবাসের প্রথম পাঠ হচ্ছে ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেওয়া। রিজিক নিয়ে টেনশন করতে করতে আমাদের দিনের শুরুটা হয় আবার দিনশেষে রাতে ঘুমাতের যাবার আগ পর্যন্ত মাথার ভেতর চলতে থাকে এই রিজিক নিয়ে চিন্তা-ভাবনা।
যেখানে আমরা কাল সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারবো কিনা তার নিশ্চয়তা নেই, আর সেখানে আমরা শয়তানের ওই সিলেবাসে ফলো করে টেনশন করছি ভবিষ্যতের ৫-১০ বছর পরের জীবন নিয়ে। ভাবখানা এমন যে আমরা নিশ্চিত জানি গ্যারান্টিসহকারে ভবিষ্যতে বেঁচে থাকবো।
শুরুতেই আমি একটা জিনিস ক্লিয়ার করে বলি রিজিক নিয়ে টেনশন করার কোন মানে হয়না। আপনার রিজিকে যা লেখা আছে তা আপনি অবশ্যই পাবেন। আর যা নেই তার জন্য আপনি যতই পরিশ্রম করুন আর চিন্তা-ভাবনা করুন না কেন তা কোন দিনই আপনার হবে না। সৎ ভাবে পরিশ্রম করে যান এবং ধৈর্য্য ধরুন নিশ্চয় আল্লাহ আপনার জন্য যা বরাদ্ধ রেখেছেন তা আপনি পাবেনই ইনশাআল্লাহ।
যাইহোক আজকের এই পোস্টের মূল আলোচ্য বিষয় রিজিক বৃদ্ধির দোয়া নিয়ে। এই ব্যাস্ত সময়ে আমাদের কারো হাতে যেন কোন সময় নেই। দিন,রাত,মাস,বছর কিভাবে চোখের পলকে পার হয়ে যায় বোঝাই যায়না সময়ের বড়ই অভাব। এতই অভাব যে যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং সময় সৃষ্টি করেছেন তাঁর জন্যই আমাদের হাতে সময় নেই।
রিজিক বৃদ্ধির অনেক ধরণের আমল রয়েছে দোয়া রয়েছে, কিন্তু আমাদের এই ব্যাস্ত জীবনে সেসব ফলো করার এত সময় কোথাই? তাই যেহেতু সময়ের অভাব আবার আমল থেকেও দূরে থাকতে চাইনা তাই ছোট্র পরিসরেই না হয় কিছু আমল শুরু হোক।
তেমননি একটি আমল হচ্ছে তাওবাহ-ইসতেগফার। এটি আমাদের ব্যাস্ত জীবনের মাঝে সময় বের করে সহজেই যে কোন সময় পড়তে পারবো, কেননা এটি খুবই ছোট কিন্তু অনেক পাওয়ারফুল একটি আমল। আপনি প্রতিদিন যতবার সম্ভব ততবার ইসতেগফার পাঠ করতে থাকুন। আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
প্রতিদিন ১০০ বার ইসতেগফার পাঠ করতেন।
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’
অর্থ : ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।’
ইসতেগফার আপনার গুণাহ মাফ করবে, বিপদ-আপদ দূর করবে এবং রিজিক বৃদ্ধি করবে। প্রতিনিয়ত ইসতেগফার পাঠ করুন এবং সৎ পথে পরিশ্রম করুন আল্লাহ নিশ্চিয় আপনার রিজিক বৃদ্ধি করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।